Amar Ganit Class 4 – ছবির চারধার মুড়ে দিই – সমতুল্য পাঠ ২৬ – পাতা (২০৮-২১৩)

Amar Ganit Class 4 – ছবির চারধার মুড়ে দিই – সমতুল্য পাঠ ২৬ – পাতা (২০৮-২১৩), West Bengal Board Class 4 Maths Chapter 26 Solutions, WBBSE Class 4 Math,

ছবির চারধার মুড়ে দিই

আমার দাদা অনেকগুলো ছবি এঁকেছে। ছবিগুলো খুব সুন্দর। আমি ঠিক করেছি দাদার কিছু ছবি মোটা পিচবোর্ডের উপর আটকিয়ে দেবো ও তার চারধার রঙিন ফিতে দিয়ে মুড়ে দেবো। তাই আমি একটি মোটা পিচবোর্ডের উপর একটি ছবি আটকালাম।

এই পিচবোর্ডের চারধার রঙিন ফিতে দিয়ে মুড়তে কতটা ফিতে দরকার? একটি সুতো দিয়ে পিচবোর্ডের চারধার মেপে দেখি ও ওই প্রতি ধারের দৈর্ঘ্য রং দিই। একটি ধার সুতো দিয়ে মেপে সুতোর দৈর্ঘ্যে রং দিই। এইভাবে চারধার মাপার সময় সুতোর দৈর্ঘ্যে চারধার রং দিই।

সুতো দিয়ে মেপে পেলাম,

সুতোর দৈর্ঘ্য ৭০ সেমি। এই ৭০ সেমি. দৈর্ঘ্যকে ওই আয়তক্ষেত্রাকার পিচবোর্ডের কী বলে?

উত্তরঃ এই ৭০ সেমি দৈর্ঘ্যকে ওই আয়তক্ষেত্রাকার পিচবোর্ডের পরিসীমা বলে।

আরও জানিঃ

আয়তক্ষেত্রাকার পিচবোর্ডের চারিদিকে একটা ধার বেশি লম্বা। আর অপর ধার কম লম্বা। এদের কী কোনো আলাদা নাম আছে?

উত্তরঃ হ্যাঁ, এদের আলাদা নাম আছে। আয়তক্ষেত্রাকার পিচবোর্ডের যে ধার বেশি লম্বা তাকে দৈর্ঘ্য এবং অন্য ধারকে প্রস্থ বলা হয়।

এবার বুঝলাম আমার এই পিচবোর্ডের চারধার মুড়তে ৭০ সেমি. দৈর্ঘ্যের ফিতে দরকার। কিন্তু দাদার অন্য ছবিটি বেশ বড়ো। তাই বড়ো মাপের পিচবোর্ড দরকার।

সুতো দিয়ে বড়ো আয়তক্ষেত্রাকার পিচবোর্ডের চারধার মেপে পেলাম,

আমি ৯০ সেমি দৈর্ঘ্যের সুতো পেলাম। তাই বড়ো পিচবোর্ডের পরিসীমা ৯০ সেমি। এই পিচবোর্ডের দৈর্ঘ্য ৫০ সেমি এবং প্রস্থ ৪০ সেমি [সুতো দিয়ে বড়ো ও ছোট ধার মেপে পেলাম]।

দাদার ওই দুটি ছবির চারধার মুড়তে আমার মোট ৭০ সেমি + ৯০ সেমি = ১৬০ সেমি দৈর্ঘ্যের রঙিন ফিতে আনতে হবে।


টেবিলে নিজের জিনিস রাখি [পাতা-২০৯]

আজ আমরা ক্লাসে নিজেদের কিছু জিনিস টেবিলে কাগজ পেতে রাখব। আর কাগজে যতটা জায়গা জুড়ে থাকে পেনসিল দিয়ে তার চারধার আঁকব এবং স্কেল দিয়ে তার পরিসীমা মাপার চেষ্টা করব।

আমি ১, ২; রবীন ৩ ও ইমতিয়াজ ৪ নং চিত্রের বস্তু টেবিলের কাগজের উপর রাখলাম এবং এদের পরিসীমা মাপলাম যার হিসাব নিন্মরুপঃ

ছবির চারধার মুড়ে দিই – টেবিলে নিজের জিনিস রাখি

যে রাখল
যে বস্তু রাখা হলো
স্কেল দিয়ে মেপে
পরিসীমা
আমি
৩সেমি + ৪সেমি + ৩সেমি + ৪সেমি
১৪ সেমি
আমি
২সেমি + ৪সেমি + ২সেমি + ৪সেমি
১২ সেমি
রবীব
২সেমি + ৩সেমি + ২সেমি + ৩সেমি
১০ সেমি
ইমতিয়াজ
২সেমি + ৪সেমি + ৬সেমি
১২ সেমি

ফলাফলঃ

কোন ছবি বা বস্তুর সবধারের দৈর্ঘ্য যোগ করলেই তার পরিসীমা পাব।


মিহির সুতো এবং স্কেল দিয়ে টেবিলের উপরিতলের পরিসীমা মাপল ৩৬০ সেমি.। মিহির ঠিকমতো মাপ নিতে পেরেছে নাকি দেখি।

সমাধানঃ

আমি সুতো এবং স্কেল দিয়ে টেবিলের প্রতিটি ধার মেপে দেখলাম, টেবিলের উপরের প্রতিটি ধারের দৈর্ঘ্য ৯০ সেমি.।

টেবিলের উপরিতলের পরিসীমা

তাই টেবিলের উপরের পরিসীমা

= ৯০সেমি + ৯০সেমি + ৯০সেমি + ৯০সেমি

= ৩৬০সেমি।

অর্থাৎ মিহিত ঠিকমতো মাপ নিতে পেরেছে।


জমিতে বেড়া দিই [পাতা-২১০]

বর্ধমান জেলার বড়শূল গ্রামে আনোয়ারাবিবির জমি আছে। আনোয়ারাবিবি তার জমির চারধারে বেড়া দেবে। আনোয়ারাবিবির কাছে কিছুটা তারকাঁটা আছে।

প্রশ্নঃ আনোয়ারাবিবির কাছে ২৫ মিটার লম্বা তারকাঁটা আছে এবং তার জমির পরিমাপ নিন্মচিত্রের ন্যায়। তাহলে তার আর কতটুকু তারকাঁটা লাগবে?

জমিতে তারকাটার হিসাব

সমাধানঃ

আনোয়ারাবিবির জমির পরিসীমা

= ১৩মিটার + ৪মিটার + ১০মিটার + ২০মিটার

= ৪৭ মিটার।

অর্থাৎ তার মোট তারকাঁটা লাগবে ৪৭ মিটার। তার কাছে তারকাঁটা আছে ২৫ মিটার।

তাহলে, তার আরও তারকাঁটা লাগবে (৪৭-২৫) মিটার =২২ মিটার।


আনোয়ারাবিবির পাশে রামু প্রধান নতুন জমি কিনেছেন। তিনিও ঠিক করলেন জমির চারদিকে ঘিরে দিতে হবে। আনোয়ারাবিবির জমির বেড়া দেখে মুকেশ ও নাসির ঠিক করল তাদের নিজেদের জমির চারধার বেড়া দিয়ে ঘিরবে। তাদের কত লম্বা বেড়া লাগবে দেখি।

মুকেশের জমিঃ

মুকেশের জমির পরিসীমা

মুকেশের জমির পরিসীমা

= ৮মিটার + ২০মিটার + ১৪মিটার + ২০মিটার + ৯মিটার

= ৭১ মিটার।

অর্থাৎ মুকেশের ৭১ মিটার লম্বা বেড়া লাগবে।

নাসিরের জমিঃ

নাসিরের জমির পরিসীমার হিসাব

নাসিরের জমির পরিসীমা

= ৩০মিটার + ১৮মিটার + ১০মিটার + ৬মিটার + ৮মিটার + ১৮মিটার  

= ৯০ মিটার।

অর্থাৎ, নাসিরের ৯০ মিটার লম্বা বেড়া লাগবে।

রামু প্রধানের জমিঃ

রামু প্রধানের জমির পরিসীমার হিসাব

রামু প্রধানের জমির পরিসীমা

= ৭মিটার + ২২মিটার + ৭মিটার + ৭মিটার + ২২মিটার + ৭মিটার

= ৭২ মিটার।

অর্থাৎ রামু প্রধানের ৭২ মিটার লম্বা বেড়া লাগবে।


নিচের প্রশ্নগুলোর সমাধান করি [পাতা-২১১]

প্রশ্ন - ১

সমাধানঃ

খেলার মাঠের পরিসীমা

= ৩০মিটার + ১৪মিটার + ৬মিটার + ২০মিটার

= ৭০ মিটার।

অর্থাৎ আমাদের ছুটতে হবে ৭০ মিটার।


প্রশ্ন - ২

সমাধানঃ

চিত্র অনুসারে,

বাগানের পরিসীমা

= ১৪মিটার + ৫মিটার + ১২মিটার + ৬মিটার +২মিটার + ১১মিটার

= ৫০ মিটার।

অর্থাৎ রীতা ৫০ মিটার বেড়া দেবে।


প্রশ্ন - ৩

সমাধানঃ

১টি মাথার বালিশের ঢাকনা পরিসীমা

= ৩৫সেমি + ৫০সেমি + ৩৫সেমি + ৫০সেমি

= ১৭০ সেমি।

বাড়িতে আমরা ৩ জন।

তাহলে মোট লেস দরকার (১৭০x৩সেমি) =৫১০ সেমি।


বর্গক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরোর খেলা [পাতা-২১২]

আজ আমরা নতুন মজার খেলা খেলব। অনেক বন্ধু মিলে খেলব। ১টি কাগজ কেটে অনেকগুলো একই মাপের বর্গক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরো নিলাম।

বর্গক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরোর খেলা

এই কাগজের টুকরোর দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ দুটোই ১ সেমি.। তাই এই টুকরোটি বর্গক্ষেত্রাকার। এখন এই মাপের কয়েকটি টুকরো দিয়ে বিভিন্ন আকার তৈরি করি ও চারধার মেপে পরিসীমা হিসাব করি।

আকার-১:

আকার-১

পরিসীমা=(৫+১+৫+১)সেমি=১২সেমি।

আকার-২:

আকার-২

পরিসীমা=(৩+৩+১+১+১+১+১+১)সেমি=১২সেমি।

আকার-৩:

আকার-৩

পরিসীমা=(২+৪+১+১+১+৩)সেমি=১২সেমি।

আকার-৪:

আকার-৪

পরিসীমা=২২ সেমি।

আকার-৫:

পরিসীমা=১৪ সেমি

পরিসীমা=১৪ সেমি।


কাগজের টুকরো সরাই [পাতা-২১৩]

টোটন ১ সেমি. দৈর্ঘ্যের বাহু বিশিষ্ট কিছু বর্গক্ষেত্র তৈরি করল। সেগুলো দিয়ে সে বিভিন্ন আকার তৈরি করছে। অপরদিকে শোভন সেই গঠিত আকার থেকে কিছু টুকরো সরিয়ে নিচ্ছে।

এবার টোটনের গঠিত আকারের পরিসীমা হিসাব করি এবং পরে শোভন কিছু টুকরা সরানোর পর যে আকার পরে থাকে তার পরিসীমাও হিসাব করি।

কাগজের টুকরো সরাই - ১

এখানে, টোটনের তৈরি করা বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা

= ৫সেমি + ৪সেমি + ৫সেমি + ৪সেমি।

= ১৮ সেমি।

শোভন ২টি বর্গক্ষেত্রাকার কাগজ সরিয়ে নেওয়ার পর আকারটির পরিসীমা

= ৫সেমি + ১সেমি + ১সেমি + ২সেমি + ১সেমি + ১সেমি + ৫সেমি + ৪সেমি

= ২০ সেমি।

কাগজের টুকরো সরাই - ২

টোটনের তৈরি করা দ্বিতীয় বর্গক্ষেত্রের

= ৮সেমি + ২সেমি + ৮সেমি + ২সেমি

= ২০ সেমি।

শোভন ৩টি বর্গক্ষেত্রাকার কাগজ সরিয়ে নেওয়ার পর আকারটির পরিসীমা

= ২সেমি + ২সেমি + ১সেমি + ৩সেমি + ১সেমি + ৩সেমি + ২সেমি + ৮সেমি

= ২২ সেমি।

কাগজের টুকরো সরাই - ৩

টোটনের তৈরি করা তৃতীয় বর্গক্ষেত্রের পরিসীমা

= ৫সেমি + ৫সেমি + ৫সেমি + ৫সেমি

= ২০ সেমি।

শোভন ৩টি বর্গক্ষেত্রাকার কাগজ সরিয়ে নেওয়ার পর আকারটির পরিসীমা

= ৫সেমি + ৩সেমি + ১সেমি + ১সেমি + ১সেমি + ১সেমি + ৩সেমি + ৫সেমি

= ২০ সেমি।


নিজে করি [পাতা-২১৩]

১ সেমি. দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বাহুর বর্গক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরো দিয়ে ৯ সেমি. পরিসীমা বিশিষ্ট আকার তৈরি করি এবং এই আকার থেকে প্রথমে দুটি তারপর তিনটি বর্গক্ষেত্রাকার কাগজ সরিয়ে নিলে পরিসীমা কত পাই দেখি।

সমাধানঃ

১ সেমি. দৈর্ঘ্যবিশিষ্ট বাহুর বর্গক্ষেত্রাকার কাগজের টুকরো দিয়ে ৯ সেমি. পরিসীমা বিশিষ্ট আকার তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তোমরা যদি তৈরি করতে পার তবে তা আমাদেরকে জানিও। আমরা আরও অধিকতর চেষ্টা দ্বারা নতুন করে এই প্রশ্নের উত্তর পরে দিব।


পরের পাঠঃ

কাঁচা আম মাখা খাই


আরওঃ

Amar Ganit Class 4 এর সকল পাঠ 

View and PostHideComment
Cancel