Amar Ganit Class 4 – আকার তৈরি করি – সমতুল্য পাঠ ২৫ – পাতা (২০২-২০৭)
আকার তৈরি করি
আয়েসা, মিজানুর, উর্মি, জোসেফ ও ইদ্রিস আজ দুপুরে বাগানের
মাঠে বসে দেশলাই কাঠি ও রবার ব্যান্ড দিয়ে বিভিন্ন আকার তৈরি করল। তারা খাতায় পেনসিল
দিয়ে ওইরকম আকারের চিত্র আঁকল।
খাতায় পেনসিল দিয়ে নিচের আকারের মত চিত্র আঁকি।
সমাধানঃ
দেখছি আমাদের তৈরি কয়েকটি আকারের চিত্র খোলা।
যে চিত্রের আকার খোলা তাদের বলি মুক্ত আকারের চিত্র। আবার
যে চিত্রের আকার বন্ধ, তাদের বলি বন্ধ আকারের চিত্র।
এবার,
বন্ধ আকারের চিত্রে যেমন ৪ নং চিত্রে,
ভিতরের জায়গা সবুজ রং, বাইরের জায়গা হলুদ রং ও সীমানাকে
লাল রং দিলাম। যা ভিতরের জায়গাকে ও বাইরের জায়গাকে আলাদা করেছে।
দেখছি, উপরের আয়তক্ষেত্রাকার জমির চারদিকে কাঁটাতার দিয়ে
ঘেরা আছে। জমির সবুজ অংশটি ভিতরের জায়গা। চারদিকে ঘেরা কাঁটাতারটি জমিটির সীমানা। আনোয়ারাবিবি
জমিটির বাইরের জায়গায় দাঁড়িয়ে আছেন।
ইদ্রিস, রোহানের কাকুর হাতে ত্রিভুজাকার চাবির রিং দেখে
কাঠি ও সুতো দিয়ে এর ন্যায় একটি চিত্র তৈরি করল। জোসেফও কাগজ কেটে একই ধরনের মতো আকার
বানানোর চেষ্টা করল।
তাদের দুজনের তৈরি জিনিসের আকার একই রকম। একটি কাঠি ও সুতো
দিয়ে তৈরি। অন্যটি কাগজ কেটে তৈরি করা হয়েছে। এদের কোনটিকে কী বলব?
উত্তরঃ
ইদ্রিস কাঠি ও সুতো দিয়ে তৈরি করল Δ এই ধরনের চিত্র। জোসেফ কাগজ
কেটে তৈরি করল Δ
এই ধরনের ক্ষেত্র।
কিন্তু দুটি আকারেই তো তিনটি ধার আছে। তাহলে একটি চিত্র
আর অন্যটি ক্ষেত্র হলো কেন?
উত্তরঃ
যখন চাবি রং-এর আকারে থাকে তখন কোনো জায়গা দখল করে না।
তাই ওটা চিত্র। কিন্তু জোসেফ কাগজ কেটে যেটি তৈরি করেছে সেটি কিছুটা জায়গা দখল করে
আছে, তাই ওটা ক্ষেত্র। ইদ্রিসের কাঠি ও সুতো দিয়ে তৈরি করা Δ এই ধরনের চিত্র এবং জোসেফের
কাগজ কেটে তৈরি করা Δ
এই ধরনের ক্ষেত্রের প্রতিটিরই তিনটি ধার আছে। এই ধারগুলিকে ভুজ বা বাহু বলে।
আর Δ
এই ধরনের চিত্রকে ত্রিভুজাকার চিত্র বা ত্রিভুজ বলা হয়। আর Δ এই ধরনের ক্ষেত্রকে ত্রিভুজাকার
ক্ষেত্র বলা হয়।
তাহলে বুঝলামঃ
বুঝেছি ১টি ত্রিভুজের বাহু আছে __৩__ [১/২/৩] টি।
আমরা এবার এক মজার খেলা খেলি। কাগজ কেটে অনেকগুলি ছোটো,
বড়ো নানান ত্রিভুজাকার ক্ষেত্র তৈরি করি ও আলাদা আলাদা রং দিই। আমরা এই সব বিভিন্ন
রঙের ও বিভিন্ন আকারের ত্রিভুজাকার ক্ষেত্র জুড়ে জুড়ে তৈরি করি।
আয়েষা, উর্মি, মিজানুর, জোসেফ যথাক্রমে ৪টি, ৫টি, ৫টি ও
৩টি ত্রিভুজাকার ক্ষত্র দিয়ে যা যা তৈরি করে তা হলো-
ইদ্রিস ৬টি ত্রিভুজাকার ক্ষেত্র দিয়ে তৈরি করলঃ-
আমি ৮টি ত্রিভুজাকার ক্ষেত্র দিয়ে তৈরি করলামঃ-
এবার,
আমরা নৌকার ক্ষেত্রগুলি নানারকমের কেন দেখি?
এরজন্য স্কেল দিয়ে নৌকার ত্রিভুজাকারক্ষেত্রগুলি মাপি এবং
কোনটি ছোটো আর কোনটি বড়ো দেখি।
নৌকার নীল রঙের ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রের প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য মাপিঃ
পেলাম,
ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির ৩টি বাহু।
৩টি বাহুর দৈর্ঘ্য স্কেল দিয়ে মেপে যথাক্রমে পেলাম ২.৮ সেমি, ৩.৩ সেমি ও ১.৮ সেমি।
ফলাফলঃ
ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির বাহুগুলির দৈঘ্য সমান নয়। অর্থাৎ এটি হলো একটি বিষমবাহু ত্রিভুজ।
যে ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্যই আলাদা বা সমান নয় তাকে
বিষমবাহু ত্রিভুজ বলা হয়।
আবার, ঘুড়ির হলুদ রঙের ত্রিভুজ ক্ষেত্রটি মেপে দেখি।
স্কেল দিয়ে মেপে পেলাম,
১ম বাহুর দৈর্ঘ্য ৩.৯ সেমি,
২য় বাহুর দৈর্ঘ্য ২.৯ সেমি,
৩য় বাহুর দৈর্ঘ্য ২.৪ সেমি।
ফলাফলঃ
এই ত্রিভুজ ক্ষেত্রটিও একটি বিষমবাহু ত্রিভুজ।
আয়েসা সবুজ রঙের ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটি নিয়ে মাপল।
সে পেল,
ক্ষেত্রটির ৩টি বাহু।
এর একটি বাহুর দৈর্ঘ্য ২.৮ সেমি, অপর দুটি বাহুর প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ১.৮ সেমি করে।
এই ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির দুটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান। এইরকম
ত্রিভুজের কী নাম হতে পারে?
যে ত্রিভুজের দুটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান তাদের সমদ্বিবাহু
ত্রিভুজ বলা হয়।
একই ভাবে, লাল রঙের ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির প্রত্যেকটি বাহুর দৈর্ঘ্য মাপা হলো।
ফলাফলঃ
লাল রঙের ত্রিভুজ ক্ষেত্রটির প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য পেলাম
২.৫ সেমি করে। অর্থাৎ এর প্রতিটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান। এইরকম ত্রিভুজের কী নাম দেবো?
যে ত্রিভুজের তিনটি বাহুর দৈর্ঘ্য সমান তাদের সমবাহু ত্রিভুজ
বলা হয়।
আয়েষা হলুদ ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির ৩টি বাহুর দৈর্ঘ্য মেপে যথাক্রমে পেল ৩.৭ সেমি , ২.৭ সেমি, ২.৩ সেমি।
তাই এটি একটি বিষমবাহু ত্রিভুজ।
ঊর্মির সবুজ ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির ৩টি বাহুর দৈর্ঘ্য মেপে যথাক্রমে পেল ২.৮ সেমি, অপর দুইটি বাহুর প্রত্যেকটির দৈর্ঘ্য ১.৮ সেমি।
তাই এটি একটি সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ।
ঊর্মির লাল ত্রিভুজাকার ক্ষেত্রটির তটি বাহুর দৈর্ঘ্য মেপে যথাক্রমে পেল ২.৪ সেমি, ২.৪ সেমি ও ২.৪ সেমি।
তাই এটি
একটি সমবাহু ত্রিভুজ।
নিজে করি [পাতা-২০৬]
শূন্যস্থান পূরন করঃ
সমাধানঃ
১. বিষমবাহু
২. সমদ্বিবাহু
৩. বিষমবাহু
সমাধানঃ
১. সমদ্বিবাহু
২. সমদ্বিবাহু
৩. সমদ্বিবাহু
৪. সমদ্বিবাহু
আমরা কাগজ কেটে কিছু ত্রিভজ বানালাম। তারপর সেগুলোর প্রত্যেকটি
ত্রিভুজের প্রতিটি বাহু মেপে দেখে যেগুলো সমবাহু সেগুলোতে সবুজ, যেগুলো সমদ্বিবাহু
সেগুলোতে কমলা এবং যেগুলো বিষমবাহু সেগুলোতে হলুদ রং দিই।
আমাদের তৈরিকৃত ত্রিভুজক্ষেত্রগুলো নিন্মরুপঃ
সমাধানঃ
পরের পাঠঃ
ছবির চারধার মুড়ে দিই